
প্রকাশিত: Sat, Mar 2, 2024 12:03 PM আপডেট: Tue, Jul 1, 2025 8:00 PM
[১]ইউরোপে ২০২৩ সালে ৪০ সহস্রাধিক বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়ে আবেদন করে পেয়েছেন ২ হাজার
রাশিদুল ইসলাম: [২] ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোতে ২০২৩ সালে ১১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। সংখ্যাটি আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বেশি।
[৩] এর মধ্যে ৪০ হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছেন। ২০১৫ ও ২০১৬ সালে অভিবাসী সংকটের পর কোনো বছরে এত বিপুলসংখ্যক মানুষ আশ্রয়ের জন্য ইইউ দেশগুলোতে আবেদন করেননি। আরটি
[৪] বুধবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন এজেন্সি ফর অ্যাসাইলাম (ইইউএএ) এ তথ্য প্রকাশ করেছে। আশ্রয়ের জন্যে বেশি আবেদন করেছেন সিরিয়া ও আফগানিস্তানের নাগরিকেরা। এরপরই রয়েছেন তুরস্কের নাগরিকেরা। আগের বছরের তুলনায় দেশটির ৮২ শতাংশ বেশি নাগরিক ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে আশ্রয়ের আবেদন করেছেন।
[৫] গত বছরে আবেদনকারীদের মধ্যে বড় একটি অংশ বাংলাদেশি। ইইউএএ বলছে, ২০২৩ সালে ৪০ হাজার ৩৩২ জন ইউরোপীয় ইউনিয়নের আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। আগের বছর আবেদন করেছিলেন ৩৩ হাজার ৭৩১ জন। ২০২০ সাল থেকে বাংলাদেশিদের আবেদনের সংখ্যা ক্রমেই বেড়েছে।
[৬] গত বছরে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১১ হাজার ৬০০ নাগরিক আশ্রয়ের আবেদন করেছেন। এর আগে কখনো ফিলিস্তিনিরা এত আবেদন করেননি। তাদের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। কারণ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশির ভাগ দেশ ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয় না।
[৭] ২০২৩ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষকে আশ্রয় দিয়েছে জার্মানি। মোট আশ্রয়প্রার্থীদের তিন ভাগের প্রায় এক ভাগের আবেদনপত্র গ্রহণ করে দেশটি। অন্যদিকে নিজ দেশের মোট বাসিন্দার প্রতি ৭৮ জনের বিপরীতে একজনকে আশ্রয় দিয়েছে সাইপ্রাস।
[৮] ২০১৫-১৬ সালে অভিবাসী সংকটের পর থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোর সীমান্ত নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। কঠোর করা হয়েছে অভিবাসীবিষয়ক আইনও। মধ্যপ্রাচ্য ও পূর্ব আফ্রিকা থেকে যেন তুলনামূলক কম মানুষ আশ্রয়ের খোঁজে ইউরোপে যান, সে জন্য এ দুই অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তিও করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
[৯] সংস্থার ওয়েবসাইট বলছে, ২০২২ সালে ৩৩,৭৩১ বাংলাদেশি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করে, তারপরে ২০২১ সালে ১৯,৯৯৪, ২০২০ সালে ১১,২৬৯, ২০১৯ সালে ১৩,৩৪০, এবং ২০১৮ সালে ১৩,৩৪০ জন আবেদন করেছিল।
[১০] তবে বাংলাদেশিদের জন্যে ইতালি গত বছর আশ্রয় আবেদনের প্রাথমিক গন্তব্য হয়ে উঠে। যা ইইউ প্লাস অঞ্চলে সমস্ত বাংলাদেশি আশ্রয় আবেদনের ৫৮% পৌঁছে। ২০২৩ সালে, ২৩,৪৪৮ বাংলাদেশি ইতালিতে আশ্রয় চেয়েছিলেন।
[১১] উল্লেখযোগ্যভাবে, দেশটিতে থাকা বাংলাদেশি নাগরিকদের আশ্রয়ের আবেদনের ৬৯% নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। ইতালির পর ফ্রান্স ও রোমানিয়ায় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি আশ্রয়ের আবেদন জমা পড়ে। ইইউ প্লাসে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে আসা মোট অ্যাসাইলাম আবেদনের ২৫% ফ্রান্সে, গত বছরে জমা পড়ে ১০,২১৫টি আবেদন। রোমানিয়ায় বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ২,৮২২টি আশ্রয়ের আবেদন আসে।
[১২] এছাড়া বাংলাদেশিরা অস্ট্রিয়ায় ১,৪০৯টি, গ্রিসে ৬৪০টি, আয়ারল্যান্ডে ৪৪৫টি, স্পেনে ৩৮০টি, সাইপ্রাসে ৩১৪টি, জার্মানিতে ১৬৪টি, মাল্টায় ১১৮টি এবং অন্যান্য দেশগুলোতে সম্মিলিতভাবে বাংলাদেশিদের কাছ থেকে ৩৭৭টি আবেদন পেয়েছিল।
[১৩] ২০২৩ সালে মোট বাংলাদেশি আবেদনের মধ্যে ৩২,৯৪৬টি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় ছিল। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আরও সংবাদ
[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের
[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক
[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল
[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস
[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
[১] বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাবলী সে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়: ভারত

[১]ড. ইউনূসকে তারেক রহমানের কথায় না চলার অনুরোধ ভারতীয় সাংবাদিকের

[১]বাংলাদেশ পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব গভীরভাবে উদ্বিগ্ন: মুখপাত্র ডুজাররিক

[১]বাংলাদেশে চলমান সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধান চায় যুক্তরাষ্ট্র: বেদান্ত প্যাটেল

[১]স্বর্ণপদক জিতে অলিম্পিক সাঁতারে ইতিহাস গড়লেন অস্ট্রেলিয়ার টিটমাস

[১] গাজা নিয়ে গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করে কমলা হ্যারিস বললেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির সময় এসেছে
